Rose Good Luck পেন্সিলে লিখা বাবার ডায়েরি (ধারাবাহিক উপন্যাসঃ পর্ব-৩০) Rose Good Luck

লিখেছেন লিখেছেন মামুন ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ১২:১২:৫২ দুপুর

মিথিলা বাবু!

কেমন যেন নিজের ভিতরের নিজেকে ধ্বংস করে ফেলতে ইচ্ছে হচ্ছিল। কি যেন নেই, কিছু একটা হারিয়ে যেতে বসেছে মনে হচ্ছিল। সালিশের আগের রাতটা বেশ দীর্ঘায়িত হয়ে উঠেছিল। কিছুতেই শেষ হতে চাচ্ছিল না। আমার মনের গোপন যায়গা থেকে কে যেন বলল, ‘ধ্বংস করে ফেলো সবকিছু। গতানুগতিক যা দেখছ, এগুলোকে গুড়িয়ে দাও।‘

এ প্রসঙ্গে সভাপতি মাও সে তুং এর একটা কথা বার বার মনে পড়ে যাচ্ছিল-“ ধ্বংস ব্যতীত কোনো প্রকার গঠনকার্য সম্ভব নয়। ধ্বংস বলতে সমালোচনা ও বর্জন বুঝায়। এবং ইহাই বিপ্লব। যুক্তি সহকারে সত্য বের করা তার সাথে জড়িত, যা হল গঠনমূলক কাজ।“

এখন আমাদের গ্রামের চলে আসা আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক সিস্টেমটিকে আমূল কিংবা যে কোনো ভাবে বদলে দিতে যেতে চাইলেই সংঘাত অবশ্যম্ভাবী। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের গবেষণালব্ধ বিশ্লেষণে এটা দেখা গেছে যে, যারা ক্ষমতায় আছেন- তাঁরা সাধারণত যে কোনো ধরণের গতানুগতিক পদ্ধতির বিরোধিতা কিংবা পরিবর্তনকে সুনজরে দেখেন না। এই প্রচেষ্টাকেও সহজভাবে গ্রহন করতে চান না। আবার এর বিপরীতে বিরোধী দলগুলো খোলা মন নিয়ে ক্ষমতাসীনদের ভাল কাজটিকে গ্রহন করেন না।বিরোধিতা তাদের কাছে সর্বাত্মক বিরোধিতার রূপ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে।

তাই বিদ্যমান গ্রামীন সমাজব্যবস্থার একটা পরিবর্তন আনার যে সুপ্ত ইচ্ছেটিকে মনে লালন করে উত্তেজিত হয়েছিলাম, নানাবিধ বিচার-বিশ্লেষণে কেমন যেন সেই উত্তেজনাটুকু থিতিয়ে গেল। আমি কিছুটা দমে গেলাম। আমাদের সাথে যারা চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে থাকবে ভেবেছিলাম, তাদের ভিতরে অধিকাংশই নিম্নবিত্ত। এরাই শোষিত। আর একটা বিপ্লব করতে হলে এদেরকে সাথে নিয়ে আগাতে হবে। তবে এই শোষিতদেরকে এমন কিছু একটা লাভজনক দেখাতে না পারলে, ওরা সহজে ক্ষমতাসীনদের শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবে না। তবে পুরো দেশের মত এই গ্রামীন সমাজের রাজনীতিটিও নিয়ন্ত্রিত হচ্ছিল মধ্যবিত্ত শ্রেনীটির দ্বারা। এই শ্রেণিটির জীবন-সংকট এত বেশী তীব্র যে, এই মুহুর্তেই তাদের সংকটের অবসান না হলে নয়। সে সংকট থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতির পর্যায়ক্রমিক বিকাশের স্বার্থে যে সময় দরকার, সে সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করার ধৈর্য তাদের নেই। এছাড়া বিভিন্ন দল ও নেতার প্রতিশ্রুতির উপর আস্থা রাখতে গিয়ে, ধৈর্য ধরতে ধরতে এবং বারবার প্রতারিত হয়ে তাঁরা এমন এক সমতলে এসে দাঁড়িয়েছে যে, এখন আর কারো প্রতিই আস্থা রাখতে পারছে না।

আবার প্রতিনিয়ত তাদের অর্থনৈতিক জীবনে ধস নামছে। সেটা ঠেকানোর কোনো উপায় নেই। আবার সে ধস থেকে পরিত্রাণ পাবার সঠিক প্রক্রিয়াটিও তাদের অজানা। এজন্যই এই শ্রেণিটি চরিত্রগতভাবে হয়ে উঠে দারুণ পরিবর্তন পিয়াসী। রাষ্ট্রীয় জীবনের উপরিকাঠামোতে যে কোন পরিবর্তনকে তাঁরা সাদরে গ্রহণ করে, পরিবর্তনের মধ্যে আপন সংকটের সমাধান প্রত্যাশা করে। এবং যেহেতু সে সমাধান রাতারাতি কোন ব্যক্তি বা দলের পক্ষেই দেয়া সম্ভব হয় না, সেহেতু কিছুদিনের মধ্যেই আবার মুখ ঘুরিয়ে নেয়।

আমার বাবু!

ঠিক এমনই একটা শ্রেণিকে পাশে নিয়ে আমাকে ভূমিহীনদের জন্য একটা পরিবর্তন আনতে হবে নিজ গ্রামে। ক্ষমতাসীনদের অত্যাচার ও নিগ্রহে প্রতিনিয়ত পিষ্ঠ হওয়া মানুষগুলোকে একটা সোজা পথ দেখাতে হবে।

খুবই দুঃসাধ্য কাজ ছিল সেটা!

তবুও আশাকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যেতে দৃঢ় প্রত্যয়ী হলাম।

পরের দিনের ভোরটি একটা অজানা আশংকাকে সাথে নিয়ে এলো যেন। গতরাতে মনিরকে নিয়ে আসা হয়েছে। আজ সালিশে ওকে আনতে হবে- চেয়ারম্যানের মূল শর্তটি বাবা মেনে নিয়েছেন। তবে মনির প্রথমটায় আসতে রাজী হচ্ছিল না। তবে বাবার পাঠানো চিঠি পেয়ে আর না করতে পারেনি।

বিকেলে প্রাইমারি স্কুল মাঠে সালিশ বসলো।

উভয়পক্ষের মানুষ এসেছে। আর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও এসেছেন। একটু দূরে রাস্তার পাশে মাহতাব মিয়ার চায়ের দোকানে পুলিশের কয়েকজন সদস্য অপেক্ষা করছে। ঠিক একইভাবে গলাকাটা আতিক মানে টিংকুর নেতৃত্বে টাক জাহিদসহ আরো পাঁচজন আমাদের দলীয় সদস্য কামলার বেশে স্কুল ঘরটির পিছনের ধান ক্ষেতে অপেক্ষা করছে। খুলনা থেকে বাবার সাথে আসার আগে সাদেক ভাইয়ের সাথে দীর্ঘ আলাপ করে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভাই ই এভাবে করতে বললেন। যদিও আপাতদৃষ্টিতে দেখা যাচ্ছিল এই উদ্যোগটি শুধুমাত্র আমাদের পরিবারকে সাহায্য করার জন্যই নেয়া হয়েছিল। আদতে কিন্তু সেটা না। পার্টির ছেলেদেরকে এখানে পাঠানোর আসল উদ্দেশ্যই ছিল এই এলাকায় আমাদের দলের প্রথম পদচারণা। একটা নতুন ঘাঁটি তৈরী করা। একই সাথে ডুমুরিয়া থেকে একচ্ছত্র আধিপত্য নিয়ে ‘ম’ আদ্যাক্ষরের লোকটিকে এই এলাকায় প্রতিহত করারও একটা বীজ বুনে দেয়া।

সালিশে আমাদের গ্রামের চেয়ারম্যান নুরু খলীফার আমন্ত্রণে আরো তিন প্রভাবশালী তালুকদার, হাওলাদার এবং মৃধা পরিবারের প্রধানরাও এসেছেন। আর বাদি-বিবাদী পক্ষতো ছিলই। কিন্তু এই ঘটনায় কে যে বাদী আর কে বিবাদী- সেটাই আমি বুঝতে পারছিলাম না।

বিচার শুরু হল।

আর শুরু হতে না হতেই সেটা যে একতরফা প্রভাবশালী মহলের নিজেদের ইচ্ছেমত হতে যাচ্ছে, কারো বুঝতে বাকী রইলো না। কথার পিঠে কথা এগোতে লাগল, জবাব-প্রতিজবাব চলতে থাকলো। তবে গন্ডগোলের মূল ইস্যুটি যেটি ছিল, কিভাবে যেন বেমালুম অদৃশ্য হয়ে যেতে চাইলো। জমির সীমানা সরানোকে কেন্দ্র করে উদ্ভুত সমস্যাটি সরাসরি মনিরের হাতে চেয়ারম্যানের নাতিকে মারধর এর মত গর্হিত বিষয়ে এসে স্থির হয়ে রইলো।

একটা প্রশ্নবোধক চিহ্নকে সাথে নিয়ে!

কেন? কেন মেরেছ তুমি? বড়দের আপোষ-মিমাংসার আগেই কেন নিজের হাতে বিচারের ভার তুলে নিতে গেলে?

আমাদের পক্ষের কয়েকজন আমাদের বাড়িতে অগ্নি সংযোগ এবং বড় চাচাকে গলায় গামছা বেঁধে সকলের সামনে দিয়ে নিয়ে হেনস্থা করার ব্যাপারে জানতে চাইলে, ঐ পক্ষের সকলের সাথে আমাদের প্রভাবশালী তিনপরিবারের কর্তা তিনজন আমাদের লোকদেরকে থামিয়ে দিলেন। বললেন,

‘গন্ডগোল মনিরই আগে শুরু করেছে চেয়ারম্যান সাহেবের নাতিদেরকে মারধরের করে। এরপরেই তোমাদের বাড়িতে হামলা হয়েছে। কিন্তু এরজন্য উস্কানি তোমরাই দিয়েছ।‘

এই কথায় বেশ একটা হট্টগোলের সূত্রপাত হল। মনে হচ্ছিল যেন সালিশটি ব্যর্থ হতে যাচ্ছে। কিন্তু বাবা সকললে থামার অনুরোধ জানিয়ে নিজে কিছু কথা বললেন। তিনি সকলকে উদ্দেশ্য করে সেদিন বলেছিলেন যে, এই গ্রাম আমাদের সকলের। সকাল হলেই একজন আর একজনের মুখ দেখে দিনের শুরুটা করতে হবে। এভাবেই তো বিগত বছরগুলো সকলে করেও আসছে। নিজেদের ভিতর কিছু একটা সমস্যা হতেই পারে। সেটার জন্য সমাজ রয়েছে। তাই এখানে উপস্থিত মুরব্বীদেরকে এই সমস্যার সমাধান দেবার জন্য সকলে যেন শান্ত থাকে। এবং উভয়পক্ষ যেন মেনে নেয়।

বাবার কথায় সবাই চুপ করলে নুরু খলীফা সকলের কাছে জানতে চাইলেন, এই সালিশ যে ফয়সালা দিবে,সেটা উভয়পক্ষ মেনে নিবে কিনা? সবাই তাতে রাজী হলে তিনি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলেন। এরপর জানালেন,

‘ জমির সীমানা সকলের উপস্থিতিতে নক্সা ধরে আগামী শুক্রবারে মাপামাপি হবে।

আর মনির নিজের মনমত মুরব্বিদেরকে না জানিয়ে বাজারে বসে সাথের লোকজনসহ যে মারামারি করেছে, এজন্য ওকে এই মজলিসে সকলের সামনে ক্ষমা চাইতে হবে। কিন্তু শুধু ক্ষমা চাওয়ার শাস্তিটি একটু বেশী সহজ হয়ে যায়। এতে করে পরবর্তীতে অন্যরাও খেয়ালখুশী মত অপরাধ করে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে খালাস পাবার চেষ্টা করবে। তাই এই মজলিসে ওকে কুড়ি ঘা বেতের বাড়িও খেতে হবে।‘

নুরু খলীফার কথা এই পর্যন্ত বলা হতেই আমাদের পক্ষের লোকজন মৃদু গুঞ্জন করে উঠলো। খোদ মনিরও বেত্রাঘাতের কথায় কিছু একটা বলতে চাইলো। কিন্তু নুরু খলীফা হাত তুলে সকলকে থামিয়ে তার কথা আবার শুরু করলেন-

‘আমার কথা শেষ হলে কারো কিছু বলার থাকলে বলতে পারবে। আর আমার বড় ছেলে যা করেছে সেটাও অন্যায় করেছে। যদিও সে নিজের দুই সন্তানকে চরম দুর্দশায় দেখে রাগের মাথায় করেছে। তবুও অপরাধ হয়েছে। এজন্য যে ঘরটিকে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, সেটাকে নতুন ভাবে বানানোর সকল দায়িত্ব তার উপর। আর মনিরের বাবার সাথে যে ব্যবহার সে করেছে, সে জন্য এই ভরা মজলিসে ওকেও তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

আর একটা কথা, মনিরকে বেত মারা এইজন্য হচ্ছে যে, ওর ভুলের কারনে একজন ছেলের চোখ আজীবনের জন্য নষ্ট হয়ে গেছে। সে একবারে অন্ধ হয়ে গেছে।‘

নুরু খলীফা কথা শেষ করতেই মনির কিছু বলতে চাইলে তাঁকে অনুমতি দেয়া হল। মনির শুধু নুরু খলীফাকে জিজ্ঞেস করল, এই সালিশ যদি সে না মানে তবে কি হবে?

ওর এই কথায় আবারো গুঞ্জন উঠল। তবে এবার চেয়ারম্যানের বড় ছেলে উদ্ধত ভাবে ওকে উত্তর দিলো,’ তুই এটা না মানলে তোকে আমরা ছিড়ে ফেলবো না। এই মজলিসেই তোকে জ্যান্ত...’ সে কথা শেষ করতে পারলো না। তার আগেই নুরু খলীফা বাঘের মত গর্র্জে উঠে তাকে থামিয়ে দিলেন। বললেন যে তিনি এখনো বেঁচে আছেন। এরপর একটু শান্ত হয়ে মনিরকে জানালেন,’ তোমার জন্য এই বিচারেই রাজী হয়ে যাওয়া ভালো। না হলে তোমার নামে থানায় মামলা করা হবে। কয়েকটি ধারায় তুমি ফেসে যাবে। এখন তোমার ইচ্ছে।‘

বাবা এবং বড় চাচা এসে মনিরকে একপাশে ডেকে নিয়ে কিছু বললেন। আমি মনিরকে দেখছিলাম। সে একটা জ্বলন্ত আগুন হয়ে উঠছিল। তবে নিজের বংশের দুজন মুরব্বীর কথা ফেলতে না পেরে সালিশ মেনে নিলো।

মিথিলা বাবু!

তোমাকে আমার স্কুলের বন্ধু বাবরের কথা বলেছিলাম, মনে পড়ে কি? লাভলিদের পরিবারের ছেলেদের সাথে ফুটবল খেলা নিয়ে সৃষ্ট গন্ডগোলে সৈয়দদের নির্দেশে ভরা মাঠে ওকেও এমনই এক বিচারের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তখন কিশোর ছিলাম। বাবরের বাড়ানো হাতে ক্ষমতাসীনদের অন্যায় আঘাতগুলো ওকে যতটা না কষ্ট দিয়েছিল, আমাকে দিয়েছিল বেশী। কিন্তু সেদিন আমি ছিলাম অসহায়।

তবে এইদিন আমি অসহায় না থেকেও অসহায় ছিলাম। আমার বাবা এবং বংশের নারী-শিশুদের কথা চিন্তা করে চেয়ারম্যানের বড় ছেলের শরীরের সর্বশক্তি দিয়ে মারা বেতের আঘাতগুলো একের পর এক মনিরের দুই হাতের চামড়াগুলোকে ফাটিয়ে দিচ্ছে, দেখছি... নির্বিকার হয়ে সেদিন শুধু চেয়েই ছিলাম। আদৌ কিছু কি দেখেছিলাম? কিছু অনুভব করেছিলাম?

জানি না বাবু। তবে বোধ আর বোধহীনতার মাঝামাঝি একটা স্তরে দাঁড়িয়ে আমার বারবার ঐ মজলিসে উপবিষ্ট তিনটি প্রভাবশালী পরিবারের প্রধান মানুষগুলোর অদূরদর্শিতা এবং নির্বুদ্ধিতা দেখে কষ্ট হচ্ছিল। আজ এরা নিজেদের শক্তিকে কাজে না লাগিয়ে একটা অন্যায়কে প্রতিষ্ঠিত করাতে সাহায্য করল। আসলে তাঁরা খাল কেটে একটা কুমিরকে ডেকে আনলো। একদিন এই কুমির নিজের আগ্রাসী প্রবনতা দেখাবে। আজ মনিরকে যেখানে দাঁড়াতে হয়েছে, একদিন এদের পরিবারের কেউ না কেউ যে দাঁড়াবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এরা- এই মধ্যবিত্ত শ্রেণি সবসময়ের মতই সবার আগে নিজেদের ভালো-মন্দটিকে বিচার করেছে চুলচেরা বিশ্লেষণে। পাল্লা চেয়ারম্যানের দিকে ভারী বুঝতে পেরে সেদিকেই ছাতা ধরেছে।

মনির একটুও অনুভূতি প্রকাশ করল না। শুধু নির্ণিমেষ যে ওকে মারছিল তার দিকে চেয়ে রইলো। এই দুজনের ভিতরে একটা অদৃশ্য বিভেদ তৈরী হয়েই ছিল। সেটা আরো বড় হচ্ছিল। একই সাথে দুজনকে কেন্দ্র করে একটা অশুভ বলয় জন্ম নিচ্ছিল। তখনো কি জানতাম সামনের দিনগুলোতে কত অঘটন ঘটতে চলেছে?

শান্ত গ্রামটিকে ঘিরে একটা দীর্ঘমেয়াদী এবং কূটিল পরিকল্পনা কিছু উচ্চাভিলাষী মস্তিষ্ক থেকে উৎপত্তি হয়ে নিজেদের স্বেচ্ছাচারের বিষবাষ্প দিয়ে ঘিরে ফেলবে, কেউ কল্পনায়ও ভাবতে পেরেছিলাম কি?

ভবিষ্যৎ জানা যায় না বিধায়ই জীবন এতো রোমাঞ্চকর!

তাই না বাবু?

(ক্রমশঃ)

বিষয়: সাহিত্য

৮৪৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

303116
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩
কাহাফ লিখেছেন :
সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর অবস্হা ও কার্য্যকলাপ, এ সবের ভেতরের অবস্হান অত্যন্ত সাবলীল নান্দনিকতায় উপস্হাপন করলেন হে শ্রদ্ধেয়!
ভাল লাগার শেষ পর্যায়ে টেনে নিলেন!
অনেক ধন্যবাদ ও জাযাকাল্লাহু খাইর!!
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৪:০৪
245173
মামুন লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ কাহাফ ভাই। আল্লাহপাক আপনাকে ভালো রাখুন সবসময়।

জাজাকাল্লাহু খাইর।Good Luck Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File